বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় আপেল সিডার ভিনেগার কিভাবে ব্যবহার করবেন?
আপেল সিডার ভিনেগারে স্বাস্থ্য উপকারিতা
ভিনেগারকে আরবীতে বলে খল বাংলায় সিরকা । আপেল সিডার ভিনেগার এক ধরনের তরল পানীয়, যা খাদ্যের সাথে ব্যবহার করার শিক্ষা দিয়েছেন স্বয়ং যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রসূল শেষ নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। তাই সিরকা খাওয়া খাছ সুন্নত বলা হয়।
আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার তার অসাধারন স্বাস্থ্য উপকারীতার জন্য।বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত মেদ চর্বি, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি নানান রোগে ভোগা বেশিরভাগ মানুষই আপেল সিডার ভিনেগারের বিষয়ে জানেন। তবুও চলুন জেনে নেই এর গুনাগুনের কথা-
• অর্গানিক আপেল, চিনি ও পানি পচিয়ে গাঁজন প্রক্রিয়ায় আপেল সিডার ভিনেগার তৈরী হয়, এতে অন্তত ৫% Acetic Acid থাকে যাতে জন্ম নেয় দারুন সব উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এসব ব্যাকটেরিয়াই বন্ধু হয়ে কাজ করে আমাদের পাকস্থলীতে।
• ভিনেগার ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে নানান প্রদাহ থেকে আমাদের রক্ষা করে।(Hippocrates – The Father of Modern Medicine)আধুনিক ঔষধের জনক হিপোক্র্যাটস নানান ক্ষতে এই ভিনেগার ব্যবহার করতেন আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে।
• কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে : আপেল সিডার ভিনেগার কোলেস্টেরল কমায়। ভিনেগার এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
• এর মধ্যে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
• টাইপ 1 এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিসের জন্য অ্যাপল সিডার ভিনেগারের জন্য প্রয়োজনীয়:
• রক্তে গ্লুকোজকে স্বাভাবিককরণ, কার্বোহাইড্রেট বিপাককে প্রভাবিত করে।
• রোগীর ওজন হ্রাস করা, কারণ বেশিরভাগ রোগী স্থূল।
• ক্ষুধা হ্রাস, যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া ছাড়াই ছোট ছোট অংশে খেতে দেয় eat অ্যাসিড শরীরে একটি দমনমূলক প্রভাব ফেলে, রোগীর অবিরাম ক্ষুধা বোধ করা বন্ধ করে দেয়।
• মিষ্টিজাতীয় খাবারের জন্য আকাঙ্ক্ষাকে হ্রাস করে, যা আপনাকে আপনার ডায়েটে আটকে রাখতে সহায়তা করে।
• রোগীদের গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটির সাধারণ সূচকে হ্রাস।
• বাহ্যিক রোগজীবাণু - ব্যাকটিরিয়া এবং ভাইরাসগুলির প্রতি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।
• • এর মধ্যে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
• নিয়মিত এই ভিনেগার সেবনের ফলে ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বৃদ্ধি পায়, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে।
• ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
• প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ সেবনে শুধু ওজন কমে না, মেটাবলিজম বাড়ায়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
• নানান গবেষণায় দেখা গেছে ভিনেগার রক্তে বাজে কোলেস্টেরল কমায় ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, TG ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রনে রাখে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে।
• হজমের সমস্যা মেটাতেও এই ভিনেগার খুব কার্যকর। আপেল সিডার ভিনেগারে হজমে সহায়তা করে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়াসহ অন্ত্রের অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দেয়।
• গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায ভুগছেন তারা খুব সহজেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এই ভিনেগারের গুনে।
• এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ (ফাইবার) আছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক।
• খাবারে প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিব হিসেবে কাজ করে এই ভিনেগার।
• ওজন কমাতে :
আপেল সিডার ভিনেগার আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড খাওয়ার ইচ্ছাকে দমন করে, মেটাবলিজম বাড়ায়।
• উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
• প্রাকৃতিক আপেল সিডার ভিনেগার গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুব উপকারী। গর্ভাবস্থায় আপেল সিডার ভিনেগার বমি বমিভাব মোকাবেলা করতে সাহায্য করে, অ্যানিমিয়ার বিকাশকে বাধা দেয়, নিজেকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। তবে নিয়ম মাফিক পরিমিত মাত্রায় খেতে হয়।
• অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার শরীরের লিভার ভালো রাখে এবং অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
• পা ব্যথা, পেট খারাপ, গলাব্যথা, সাইনাসের সমস্যা সারাতে ভালো কাজ করে আপেল সিডার ভিনেগার।
রূপচর্চায় আপেল সিডার ভিনেগার এর ব্যবহার
• চুলে শ্যাম্পু দেয়ার পর আমরা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারি। এতে করে চুলে কন্ডিশনিং হবে, তাছাড়া চুলের খুশকি যাবে এবং চুল নতুন করে গজাবে।
• এটি টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে টোনারের মত করে তুলো দিয়ে এই ভিনেগার লাগাবেন। এতে করে ত্বকের দাগ চলে যাবে এবং মুখের ব্রণ কমবে।
• দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করে।
• গোসলের পানিতে দিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। মন প্রফুল্লও হবে, রোদে পোড়া দাগও কমবে।
• আপেল সিডার ভিনেগার এটি হাত ও পায়ে ম্যাসাজ করলে দেহের ক্লান্তি দূর হয় এবং হাত পা জ্বালাপোড়া রোধ করে।
• ছেলেরা এটিকে আফটার শেভ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সমপরিমাণ পানি এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার নিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। শেভ করার পর দিন।
• প্রতিদিন ত্বকে একে ব্যবহার করলে ত্বকে কোন মরা কোষ থাকে না, ত্বক উজ্জ্বল হয়, বলিরেখা দূর করে, স্কিনের PH-এর সমতা রক্ষা করে, লোমকূপ ছোট করে, মুখে ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কমে যায়।
কিভাবে এবং কখন খাবে :
১ – ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ১০০ – ২০০ মিলি পানিতে মিশিয়ে খেতে হয়।
আপেল সিডার ভিনেগার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিও গুলো দেখার অনুরোধ রইলো
• আপেল সিডার ভিনেগার কেন খাবেন?
• https://youtu.be/f5Pntmszcdg
• বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় আপেল সিডার ভিনেগার কিভাবে ব্যবহার করবেন?
• https://youtu.be/84fTUXE3n6c
• ডায়াবেটিস রুগীদের আপেল সিডার ভিনেগার এর ব্যাবহার
• https://youtu.be/pF4AkWYMh2M
• আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে যত বিভ্রান্তি
• https://youtu.be/31LeVpBQxiM
যেকোনো শারীরিক সমস্যায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই প্রথমেই ওষুধের ওপর নির্ভর না করে আস্থা রাখুন প্রকৃতির ওপর। আমরা তো জানি প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু জানেন কি? আপেল দিয়ে তৈরি আপেল সিডার ভিনেগারের রয়েছে আরও অনেক বেশি উপকারিতা।
আপেল সিডার ভিনেগার কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এটি যেন অর্গানিক এবং মাদারযুক্ত হয়।আপনারা নিশচয়ই জানেন এই মাদার মানে হল ভিনেগারে থাকা জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া।
আরও বেশি গুরুত্বপূর্ন হল দারুন চাহিদাসম্পন্ন এই পন্যটিও বাংলাদেশের ভেজালের ভিড়ে পরে গেছে।সেগুলো দেখতে একই হলেও নানান কেমিক্যাল ছাড়া আর কিছুই নয়।এসব কেমিক্যাল যদি আপনারা সেবন করেন তবে এর প্রভাব খুব খারাপ হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সুতরাং সবাই সচেতন হবেন সেই আশাই করছি। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্যই আমাদের একমাত্র কাম্য।
প্রয়োজনীয় অর্গানিক পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং পন্য অর্ডার করতে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন WhatsApp No: 01323-723392,01323-724019
অথবা সরাসরি পন্য সংগ্রহ করতে পারেন আমাদের এই ঠিকানায়ঃ ভেন্টেজ এন্টারপ্রাইজ, ১৯৯/১ শান্তিবাগ ঢাকা-১২১৭
পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে
Website Link: https://www.vantage.com.bd/
Google Maps Link: https://goo.gl/maps/WpjeY5oc6uXHkD5AA
ডা. মুজিবুর রহমান
এম.ডি, কার্ডিওলজিস্ট, ফাউন্ডার ভেন্টেজ ন্যাচারাল হেলথ সেন্টার।